প্রথমে একটি চক্র গভীর নলকূপের মিটার চুরি করে। এরপর মিটারের জায়গায় মুঠোফোন নম্বর রেখে যায়। সেই নম্বরে কল করলে মিটার ফেরত পেতে গ্রাহকের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। এভাবে চুরি করা মিটার ফেরত দিতে প্রতি মিটারের জন্য ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়। বগুড়ার কাহালু, নন্দীগ্রাম, আদমদীঘি, শেরপুর উপজেলাসহ আশপাশের জেলাতেও আহরহ করে এমন কাজ করে আসছে চক্রটি।
শনিবার ভোররাতে বগুড়ার কাহালু থানার পাঁচগ্রাম থেকে চক্রটির দুই সদস্যকে আটক করে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানা পুলিশ। আটকরা হলেন- বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাঁচগ্রামের ফজলুল বারীর ছেলে মেহেদী (২০) একই গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে আছমাউল (১৯)।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, চক্রটি প্রথমে বিদ্যুতের মিটার চুরি করে। এরপর মিটারের জায়গায় মুঠোফোন নম্বর রেখে যায়। সেই নম্বরে কল করলে মিটার ফেরত পেতে গ্রাহকের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। এভাবে চুরি করা মিটার ফেরত দিতে প্রতি মিটারের জন্য ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়। চক্রটি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলালসহ
বগুড়ার কাহালু, নন্দীগ্রাম, আদমদীঘি, উপজেলায় এমন কাজ করে আসছিল বলে তারা জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানাতে পারি চক্রটির দুই সদস্য কাহালু উপজেলার পাঁচগ্রামে অবস্থান করছে। এরপর সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
জানা গেছে, চক্রটি বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় চক্রটি গভীর নলকূপের মিটার চুরির পর চাঁদাবাজি করে আসছিল। কিন্তু তারা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ