১৪ জুন, ২০২১ ১৫:০৩
বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট

ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫০

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫০

ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের ৩ ইউনিয়নের ৭ গ্রামের লোকের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হইয়েছেন। এ সময় ৭/৮টি বাড়ি ও ১০/১২টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। 

সোমবার (১৪ জুন) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে। ভাঙ্গা থানা পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতরা ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকেই গ্রেফতার এড়াতে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য করিম মাতব্বরের সাথে একই ইউনিয়নের মৃধাকান্দা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সোনালী ব্যাংক কর্মচারী আবুল কালাম মোল্লার বিরোধ চলছিল। কয়েক মাস যাবত দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। 

গতকাল রবিবার (১৩ জুন) রাত ৮টার দিকে আবুল কালাম মোল্লার ভাতিজা অনিক মোল্লা (২১) পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে গেলে তাকে করিম মাতব্বরের লোকজন মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে। দুই পক্ষই রাতভর সংগঠিত হয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিতে থাকে। সোমবার ভোরেই সংঘর্ষ শুরু হয়। 

দুই পক্ষের কয়েক হাজারেও বেশি লোক দফায় দফায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে অংশগ্রহণ করে। এ সংঘর্ষে পাশের নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়ন ও সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন থেকে লোকজন অংশগ্রহণ করে। সংঘর্ষ মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া, ব্রাহ্মণকান্দা, মৃধাকান্দা, নাজিরপুর, খাকান্দা নাজিরপুর, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের মীরা কান্দা, হরুপদিয়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় এক পক্ষের দলনেতা আবুল কালাম মোল্লার বাড়িসহ ৭/৮টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এছাড়া মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামের মুন্সী বাড়ি ও কান্দারবাড়ি নামক স্থানে ১০/১২টি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। 

মানিকদহ ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুদিন যাবত ঐ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গত সপ্তাহে দুই পক্ষই ভাঙ্গা থানায় সংঘর্ষ না করার লিখিত অঙ্গিকার দেন। ৫/৬ দিন না যেতেই এই সংঘর্ষ ঘটে। এ সংঘর্ষে কালাম মোল্লার পক্ষের লোকজনের বেশি ক্ষতি হয়েছে।   

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়েই পুলিশ  ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও কোনও পক্ষই মামলা করেনি।  
 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর