১৮ জুন, ২০২১ ১৬:৩২
একজনকে বিয়ের প্রলোভনে ২০ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ

দুই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ

যা বললেন দুই চেয়ারম্যান

শেরপুর ও নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি

দুই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ

দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান

শেরপুর জেলার নালিতবাড়ী উপজেলার দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে কোর্টে ও থানায় পৃথক মামলা করা হয়েছে। তাদের একজন উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক খন্দকার শফিক আহামেদ। অপরজন গোড়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আজাদ মিয়া।

মামলা ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০ বছর ধরে বিয়ের প্রলোভনে ৪০ বছরের এক নারীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করে যাচ্ছেন পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আজাদ মিয়া। বারবার বিয়ের জন্য চাপ দিলেও তিনি ওই নারীকে বিয়ে করছেন না। এই অভিযোগ এনে নালিতাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভিকটিম ওই নারী। অভিযোগে ওই নারী জানান, ২০ বছর আগে থেকে চেয়ারম্যান আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। সর্বশেষ বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে উপজেলার পূর্ব আলিনাপাড়া এলাকায় চেয়ারম্যানের বাড়িতে আনা হয়। কিন্তু বিয়ে না করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে সারারাত ধরে ধর্ষণ করা হয়। এরপর বারবার বিয়ের জন্য চাপ দিলেও কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে ১৫ জুন ওই ভিকটিম পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের বিষয়ে নালিতাবাড়ী সার্কেলের (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) পুলিশ কর্মকর্তা আফরোজা নাজনীন বলেছেন, ‌‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে প্রমাণিত হলে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অপরদিকে আরেক চেয়ারম্যান খন্দকার শফিক আমাম্মেদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ২০ বছরের এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলা নং ২১৬, তারিখ ২৫ মে। অভিযুক্ত শফিক ওই উপজেলার মরিচপুরান এলাকার বর্তমান চেয়ারম্যান।

অভিযোগে লেখা হয়েছে, ভিকটিমকে গত ২০ মার্চ বিয়ে করার উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যানের শহরের সিটপাড়াস্ত বাড়িতে এনে একজনকে কাজী ও অপর দুজনকে সাক্ষী বানিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়। তারপর থেকে তারা দুজন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। কিন্তু গত ২০ মে সকালে ওই চেয়ারম্যান ভিকটিমকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ভিকটিমকে জানিয়ে দেওয়া হয় তার সঙ্গে (ভিকটিম) কোনো বিয়ে হয়নি। ওই দিনই ভিকটিম আদালতে মামলা করেন। আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

পিবিআই কর্মকর্তা সৈদয় মঈনুল হোসেন বলেছেন, আদালতের নির্দেশ এখনও হাতে পাইনি। হাতে পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শফিক আহামেদ বলেন, অভিযোগকারী আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। রাজনৈতিক কারণে স্থানীয় মেয়র আবু বক্করকে এজন্য দোষারোপ করেন তিনি।

চেয়ারম্যান আজাদ মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। প্রতিপক্ষরা আমাকে ঘাঁয়েল করতে এ ধরনের নোংরা অভিযোগ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুনেছি, বাদী অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে।’ 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ


 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর