২৫ জুন, ২০২১ ১৯:৫৩

শাটডাউনের আশঙ্কায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে শিমুলিয়া ঘাটে

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

শাটডাউনের আশঙ্কায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে শিমুলিয়া ঘাটে

চলমান লকডাউনে মুন্সীগঞ্জ জেলা শহরে কোনো প্রকার যানবাহন বা রিকশা-অটোরিকশা চলতে দেওয়া হচ্ছে না। শুক্রবারও লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কঠোর অবস্থানে ছিল।

অপরদিকে, চলমান লকডাউনে করোনার ঊর্ধ্বগতি সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ফেরিতে গাদাগাদি করে চলছে যাত্রী পারাপার। এরমধ্যে ১৪ দিনের শাটডাউন ঘোষণা আসতে পারে এমন আশঙ্কা সকাল থেকে আরো বেড়েছে যাত্রীর চাপ।

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভোর থেকে এই নৌরুটের ফেরি গুলোতে ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গগামী উভয়মুখী যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে দেখা গেছে পদ্মা পাড়ি দিতে। যাত্রীদের পাশাপাশি এসব ফেরিতে একসাথে পারাপার হচ্ছে পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন। 

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, লকডাউনে ৫টি ফেরি দিয়ে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল সচল রাখা হলেও। ঘাটে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ১৪টি ফেরি দিয়ে চলছে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার। বর্তমানে শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষা রয়েছে দেড় শতাধিক যানবাহন।

এদিকে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন করে আরো ৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, জেলায় বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জনের নমুনার মধ্যে ৫৫ জনের রিপোর্টে পাওয়া গছে। তার মধ্যে নতুন করে ৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদেরকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩০ হাজার ৬০২ জনের। এরমধ্যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে ২৯ হাজার ৯৮৫ জনের। যার মধ্যে করোনা পজেটিভ হয়েছে ৫ হাজার ৯১২ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ১০ জন।

জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৭১ জন। যার মধ্যে গেল বছরে ৬৯ জন ও চলতি বছরে দু'জন। তবে বর্তমানে জেলার বিভিন্নস্থানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৯২ জন।

এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার আবুল কালাজ আজাদ বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী জেলায় কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ও সঠিকভাবে মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর