বাগেরহাটে চলছে কঠোর লকডাউন। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আজ সকাল ৬টা থেকে দেশব্যাপী শুরু হওয়া এই লকডাউন চলবে এক সপ্তাহ ধরে। লকডাউনের প্রথম দিনে বাগেরহাটে দূরপাল্লার পরিবহনসহ জেলার অভ্যন্তরীণ ১৬টি রুটে সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস, দোকানপাট, নৌযান, সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ রয়েছে। শুধু কাঁচা বাজার, খাবার ও ওষুধের দোকানসহ জরুরি সেবা চালু রয়েছে।
করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লোকজন শহরে চলাচল করছে। বাগেরহাট শহর ও উপজেলা সদরে চায়ের দোকানসহ মাঝে মধ্যে দুই একটি দোকান খোলা দেখা গেছে।
জেলার প্রবেশদ্বারসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। জেলার উপকূলীয় উপজেলা মোংলা, রামপালে নৌবাহিনী-কোস্টগার্ড ও বাগেরহাট শহরসহ অন্য উপজেলায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল দিচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই আইনশৃংখলা বাহিনীর জোরার মুখে পড়তে হচ্ছে। বাগেরহাট শহরসহ জেলায় টহল দিচ্ছে ভ্রম্যমাণ আদালতের ১১টিম।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় দেশব্যাপী শুরু হওয়া লকডাউনে বাগেরহাটে লোকজনকে বাড়িতে রাখতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে না বেরোতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে প্রশাসন। বিধিনিষেধ না মেনে যারা অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আসছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করছেন না তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ জরিমানা করা হচ্ছে। সংক্রমণরোধে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় ১১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে অভিযান পরিচালনা করছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার