যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তুরস্কে আয়োজিত প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি হলে তিনি সেখানে যেতে পারেন।
কাতারে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা জানেন, যদি কিছু হয়, আমি শুক্রবারই যাব-যদি তা উপযুক্ত হয়’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিশ্বকে সাহায্য করতে পারি। তাই আমরা মনে করি, রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে ভালো কিছু করতে পারব।’
একদিন আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনায় যোগ দিলে তিনিও তুরস্কে যাবেন। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে একজন জুনিয়র প্রতিনিধি পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পুতিনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে শান্তির প্রতি আন্তরিকতা দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
পুতিনের অনুপস্থিতি নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিস্মিত হইনি। আমি না গেলে উনি কেন যাবেন?’
দায়িত্ব নেওয়ার সময় ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিকে রাশিয়া প্রত্যাখ্যান করে।
ইউক্রেনের সঙ্গে বর্তমান প্রশাসনের সম্পর্ক উন্নয়ন হলেও কাতারে আবারও জেলেনস্কিকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, ও সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সেলসম্যান’।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে জেলেনস্কির এক উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠক হয়।
ট্রাম্প জানান, তার প্রশাসন ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। এটা খুব সহজ ছিল, যেন বাচ্চার কাছ থেকে টফি কেড়ে নেওয়া।
মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ সফরের অংশ হিসেবে ট্রাম্প বর্তমানে কাতারে রয়েছেন। সফর শেষে বৃহস্পতিবারই তার সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মুখোমুখি বৈঠক করেন জেলেনস্কি ও পুতিন। ২০২২ সালের মার্চে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করলে এরপর দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হলেও দুই প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হয়নি।
বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে আলোচনাটি হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আলোচনা শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
সূত্র : এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত