নারায়ণগঞ্জে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। এসময় লকডাউনের বিধিনিষেধ না মানায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও যানবাহনকে ২২ মামলায় প্রায় ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহর ঘুরে দেখা যায়, শহরের মণ্ডলপাড়া, ২ নম্বর রেলগেট, চাষাড়া চত্বর, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখসহ কয়েকটি স্থানে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া অন্যান্য সড়ক-মহাসড়কগুলোতেও রয়েছে পুলিশ-র্যাব-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল। সেন্ট্রাল খেয়াঘাট ও চাষাড়া চত্বরসহ কয়েকটি স্থানে রয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে নগরের চাষাড়া এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করে। ওই সময় তারা যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করেন এবং বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। তারা জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হওয়া মানুষের মুখে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করেন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মেজর মাশকুর রহমান ও ক্যাপ্টেন আরেফিন সিদ্দিকী।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রধান এডিএম রহিমা বেগম জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে তিন শিফটে ২০টি টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। ২০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে লকডাউন না মানায় ২২টি মামলায় প্রায় ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বিভিন্ন যানবাহন ও ব্যক্তিকে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষেধ কার্যকর করতে সেনাবাহিনীর ৫টি দল ও ৩ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ২০ টিম ও জেলা পুলিশের ৩১টিম কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জায়েদুল আলম জানান, আমরা জনসাধারণকে হয়রানি নয়, আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কথা বলে বাসা থেকে বের হওয়ার যৌক্তিকতাগুলো খতিয়ে দেখে চলাচল করতে দিচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই