শিরোনাম
- প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত নির্বাচনের সময় ‘এপ্রিল ফুল’ হতে পারে : ১২ দলীয় জোট
- ঈদের সকালে স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
- অপরাধী বা স্বৈরশাসক যতই ক্ষমতাধর হোক তাদের পতন নিশ্চিত: মঈন খান
- ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই: খোকন
- ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দানে লক্ষাধিক মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়
- চিকিৎসা না পেয়ে চলন্ত ট্রেনেই মৃত্যু ভারতীয় ক্রিকেটারের
- ঈদের সকালে ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার
- নরসিংদীতে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ঈদুল আজহা উদযাপন
- ইংল্যান্ড সিরিজে অনিশ্চিত আকিল হোসেন
- নরওয়ের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু ইতালির
- জাতি যেন-তেন নির্বাচন চায় না: জামায়াত আমির
- ঢাকাসহ যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে আজ
- কোহলির মন্তব্যের বিরোধিতা করে যা বললেন আন্দ্রে রাসেল
- ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে জোকোভিচের বিদায়
- ঈদগাহে যাওয়ার পথে বাসচাপায় বাবা-ছেলে নিহত
- দলীয় আবহেই ঈদ উদযাপন করলেন হামজারা
- রংপুর নগরীতে ১০ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের আশাবাদ
- শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
- টি-টোয়েন্টি: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের শুভ সূচনা
- ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঈদুল আজহা উদযাপন
জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পান চাষ
প্রয়োজন প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতা
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় পান চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় পান চাষের দিকে ঝুঁকছেন অধিকাংশ কৃষক। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও টানা ভারি বর্ষণে প্রতি বছরই পান চাষিদের বিপাকে পড়তে হয়।
উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে নিজ উদ্যোগে পান চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন স্থানীয় প্রান্তিক কৃষকরা। একর প্রতি পানের বরজে এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ করে প্রতি বছর লাভ করছেন ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। তবে এ জেলায় কোনো সংরক্ষণাগার না থাকায় বিপাকে পড়তে হয় এখানকার পান চাষিদের।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় প্রায় ৪’শ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৬’শ ২০টি বরজে পান চাষ করে কৃষক। স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে পানের বরজে মাটির আইল, বেড়া, ছাউনি, শ্রমিক, পানের লতা ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ লাখ টাকার খরচ হয়। বৈশাখ থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত। পানের ভরা মৌসুম। ভাদ্র থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত পানের উৎপাদন হয় কম।
রায়পুর উপজেলায় সবচেয়ে বড় পানের পাইকারী বাজার বসে শনিবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার। এর মধ্যে হায়দরগঞ্জ উপ-শহর ও ক্যাম্পেরহাট হলো এ জেলার সর্ববৃহৎ পানের পাইকারি হাট। ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পান কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় পানের চাহিদার যোগান দেন।
দিঘলদী গ্রামের ইমাম হোসেন বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পান চাষ করে সবাই লাভবান হতে পারতো। এখানে পান চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দিঘলদী, ঝাউডগী, ক্যাম্পেরহাট, কেওড়াডগী, গাইয়ারচরসহ এখানকার প্রতিটি বাড়িতে পান চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন কৃষকরা। ক্যাম্পেরহাট ও হায়দরগঞ্জ পান বাজারে অন্যান্য উপজেলা থেকেও পান বিক্রি করতে আসেন কৃষকরা। তবে প্রয়োজনয়ী পুঁজির অভাব ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় পানের বরজের প্রসার ঘটাতে পারছেন না বলে জানান, স্থানীয় কৃষকরা।
উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধ শহিদ উল্যাহ বি.এস.সি জানান, এখানকার উৎপাদিত পান সু-স্বাদু হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা এবং দাম বেশি। পান চাষকে ঘিরে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতক জীবনযাত্রার মান বদলে যাচ্ছে। স্থানীয় পান চাষিদের দাবি প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা ও প্রশাসনের পৃষ্ঠপেষকতা পেলে এখানকার উৎপাদিত পান রপ্তানি করে জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখা সম্ভব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুরের উপ-পরিচালক বেলাল হোসেন খান বলেন, আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মচারিরা পান চাষে রোগবালাই ও ঝুঁকি কম থাকায় সবসময় কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আধুনিক পান চাষে ও বিভিন্ন দূর্যোগ মুহূর্তে কৃষি কর্মকর্তারা সবসময় কৃষকদের পাশে থাকেন।
বিডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির
এই বিভাগের আরও খবর