ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলার দুর্গাপুরের পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী নদীর পানি কিছুটা কমলেও অন্যসব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন।
দুর্গাপুরের শিবগঞ্জ, ডাকুমারা, কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কামারখালী, বহেরাতলী, বড়ইকান্দি, রানীখংসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে সোমেশ্বরী নদীর শিবগঞ্জ-ডাকুমারা এলাকাটি ভাঙনের কবলে থাকলেও সাড়া নেই সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে, অব্যাহত বৃষ্টি আর ঢলে বেড়েছে জেলার আরেক সীমান্ত কলমাকন্দা উপজেলার গোলাম খালি নদীর পানি। এই নদীর পানি বৃদ্ধিতে পোগলা ইউনিয়নের রানীগাঁও বাজার সংলগ্ন এলাকায় বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েকশত পরিবার। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, পাহাড়ি এই নদীতে গত বছর নৌকাডুবিতে ১১ জন নিহত হন। এছাড়াও কলমাকান্দার উদাখালী, কংস, হাওর এলাকার ধনু ও নেত্রকোনা পৌর শহরের মগড়া নদীসহ প্রায় সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি কিছুটা নামতেও শুরু করেছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কলমাকান্দায় বাঁধ ভাঙার ব্যাপারে বাঁধটি ডুবন্ত বাঁধ বলে দাবি করেন।
অন্যদিকে, জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান জানান, সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন