করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে দিনাজপুরে গণপরিবহন চলাচল করেনি। শহরের দোকানপাটও বন্ধ ছিল। তবে বিক্ষিপ্তিভাবে কিছু অটোরিকশা, ভ্যান বিভিন্ন সড়কে চলছে। পাশাপাশি জনসাধারণের চলাচলও ছিল সীমিত আকারে।
এদিন টহল ছাড়াও দিনাজপুরের বিভিন্নস্থানে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন ইউনিট নিয়ে অবস্থান নেয়।
দিনাজপুর সদরে বিধি-নিষেধ অমান্য করায় গত দুই দিনে ১২৩ জন ব্যক্তিকে ৬ লাখ ৯ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুর্তজা আল মুঈত।
খানসামায় লকডাউনের তৃতীয় দিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৬টি মামলায় ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম।
শনিবার সকাল ১০টায় বোচাগঞ্জের সেতাবগঞ্জ পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন কার্যকর করতে ইউএনও ছন্দা পাল ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিকাশ চন্দ্র বর্মন শহরের মোড়ে মোড়ে জনসাধারণকে ঘরে থাকতে ও মাস্ক ব্যবহার করতে আহবান জানান। এসময় প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সেতাবগঞ্জে প্রবেশ করেছে সংবাদে শহরের অর্ধেক সার্টার খোলা দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
শনিবার সকাল ১১টায় কাহারোলের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলার দায়ে ১০ জন ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কাহারোল উপজেলায় বিভিন্ন মোড়ে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল হাসান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন