চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্তে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকা মূল্যের ১৩৫ কেজি ভারতীয় কচ্ছপের শুকা মাংসসহ (শুটকি) ৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
আটককৃতরা হচ্ছেন, ভোলাহাট উপজেলার কুমিরজান সুরানপুর গ্রামের মৃত এত্তাজ উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫০), একই উপজেলার ফুটানীবাজার চামুসা গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২২) এবং মফিজ উদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২০)। শনিবার দুপুরে তাদের ভোলাহাট বিওপির সীমান্ত পিলার ১৯৪/৩-এস হতে আনুমানিক০৫ কিঃমিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুমিরজান সুরানপুর থেকে আটক করা হয়।
বিকেলে রহনপুর ৫৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র সদর দপ্তরে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আমীর হোসেন মোল্লা, পিএসসি। তিনি জানান, শনিবার সকাল ১০টা হতে বেলা ২টা পর্যন্ত তার নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানসহ বিশেষ টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুরানপুরে অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে ১৩৫ কেজি ভারতীয় কচ্ছপের শুকা মাংস উদ্ধারসহ তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আল আমিন ও মনিরুল ইসলামকে আটক করা হয়। আটককৃত কচ্ছপের হাড়সহ আটককৃত ও পলাতক আসামিদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আটককৃত কচ্ছপের মাংস জেলায় এই প্রথম আটক করা হয়েছে বলে জানান ৫৯বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক আমির হোসেন মোল্লা। আর নিজ বাড়িতে এই কচ্ছপের হাড়গুলো রাখার জন্য তিনি চোরাকারবারীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা পেয়েছিলেন বলে জানান আটককৃত রফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে হাড়গুলো বহন করার জন্য ৫ থেকে ৬’শ টাকা পাওয়া যায় এবং এর আগেও তারা আরও কয়েকবার কচ্ছপের হাড় পাচার করেছে বলে স্বীকার করে ২ জন বাহনকারী, তারা পাচারকারীর নামও প্রকাশ করে। এদিকে কচ্ছপের মাংস বিদেশে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে জানান একাধিক চিকিৎসক।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ