ষাঁড় গরুটির ওজন ১৬৭৬ কেজি (৪২ মণ)। লম্বায় ১০ ফুট আর উচ্চতায় ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। বয়স সাড়ে তিন বছর। এই গরুকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি করছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নে রাণীগাঁও গ্রামের খামারি রুহুল আমীন।
তিনি বলেন, উন্নত কানাডিয়ান জাতের বীজ থেকে এই ষাঁড় গরুর জন্ম দেওয়া হয়েছে। অনেকটা সখ করেই বিশালদেহী ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন ‘সুলতান’। এই সুলতান এখন হয়ে উঠেছে শেরপুর জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় কোরবানির পশু। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিক্রির জন্য অনেক যত্ন করে সুলতানকে বড় করেছেন। নিজ বাড়িতে ৪২ মণ ওজনের এই কানাডিয়ান প্রজাতির ষাঁড় পালনে করে চমক দেখিয়েছেন তিনি। এই ষাঁড়কে প্রতিদিন খড় ও ঘাস ছাড়াও খৈল ভুষি, ভাতের মার, খুদিসহ অন্তত ১০ কেজি খাবার দিতে হয়। আর সারাক্ষণ ফ্যানের বাতাসের মাঝে রাখতে হয়।

রুহুল আমীন বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে বিভিন্ন বড় বড় খামার পরিদর্শন করেছি। আমার এই সুলতানই হয়তো বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গরু। এই গরুর মতো বড় ষাঁড় গরু দেশের আর কোথাও নেই বলে আমার ধারণা। তার বয়স ও ওজনের ওপর ভিত্তি করে দাম হাঁকছেন ২০ লাখ টাকা। তবে আলোচনা সাপেক্ষে দাম কমবেশি হতে পারে।’
‘চলমান বিধিনিষেধে সুলতানকে বিক্রি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সুলতানের পেছনে প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়। এত বড় ষাঁড় ট্রাক বা কোনো যানবাহনে নেয়াও কঠিন। করোনার কারণে হাঁটে তোলা না গেলে বেশ বিপদে পড়ে যাব। তাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা যদি সুলতানকে বিক্রির বিষয়ে সহযোগিতা করতেন তাহলে আমি বেশ উপকৃত হতাম।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অনলাইন পেজে সেই গরুর ছবিসহ বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ক্রেতারা পছন্দ করে নিতে পারবেন। তার জন্যও বিক্রিটা সহজ হবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ