সম্প্রতি শেরপুরে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়েছে আশঙ্কজনকভাবে। এরই মধ্যে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সরকারের দেওয়া লকডাউন বুধবার শেষ হয়েছে। ঈদকে ঘিরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির হাট পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্ত শেরপুরের কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এত সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতা আর পশুর উপস্থিতি যেন মেলাকেও হার মানাচ্ছে। গাদাগাদি করে মানুষ যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে পশুর হাটে। সামাজিক দূরত্ব দূরের কথা, মাস্কের ব্যবহার তেমন লক্ষ করা যায়নি।
হাটগুলোতে হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। ইজারাদারের পক্ষ থেকে নেই কোনো প্রচারণা। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে হাটগুলোতে করোনাই অসহায়। এতে হতাশা ব্যক্ত করেছেন সচেতন অনেকেই।
পশু হাটের এই অবস্থা দেখে জেলার সিভিল সার্জন একেএম আনওয়ারুর রউফ বলেছেন, অবস্থা ভয়াবহ। এখানে স্বাস্থ্যবিধি চরমভাবে লঙ্ঘন হচ্ছে। এভাবে চললে সামনে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে।
জেলা প্রশাসক মমিনুর রশীদ জানান, সকল ইজারাদাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাট বসানো যাবে না। মঙ্গলবার হাটের সকল পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে প্রশাসন আরও কঠোর হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই