ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শ্রেণি পরিবর্তনের অনুমতি না নিয়ে একটি কৃষি জমিকে পুকুর বানানো হয়েছে। এখন ওই পুকুর থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে।
এতে করে আশপাশের অনেক জমি পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের টেংরাপাড়া এলাকার আফছু মিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নিজেদের একটি পুকুরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। ইতিমধ্যেই পুকুরটি ৩০-৪০ ফুট গভীর করে ফেলা হয়েছে। এখান থেকে উঠানো বালু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, আফছু মিয়া ও তার ছেলে রাজীব ২০২০ সালে ফসলি জমি নষ্ট করে প্রথমে একটি পুকুর খনন করে। পুকুর করতে গিয়ে সেখানে এমনভাবে মাটি কাটা হয়েছে যে, আশপাশের জমি ভাঙতে শুরু করে। এ অবস্থায় তাদের কাছে একাধিক ব্যক্তি তাদের জমি বিক্রি করতে বাধ্য হন।
পুকুর থেকে বাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলন শুরু করায় উপজেলার টানপাড়ার বাসিন্দা মো. আসারুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে আসারুল ইসলাম বলেন, পুকুরের পাশে আমাদের কয়েকটি জমি আছে। এসব জমি বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আমিসহ গ্রামের আরো কয়েকজন মিলে তাদের বালু উত্তোলন না করতে অনুরোধ করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি-ধামকি দেয়।
পুকুরের মালিক রাজীব মিয়া বলেন, পুকুরের গভীরতা বাড়াতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পাশের জমির কোনো ক্ষতি হবে না। তাছাড়া পুকুরের পাশে আমারও জমি রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই