দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদুল আজহার প্রধান ৩টি জামাত বুধবার সকালে বিশ্ব ঐতিহ্য (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি কামনায় মুসল্লিরা বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল আজহার প্রথম জামাতে অংশ নেন। পরে সকাল ৭.৪৫ মিনিটে দ্বিতীয় ও ৮.৩০ মিনিটে তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঐতিহ্যবাহি এই মসজিদে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
মুসল্লিরা মুখে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সাথে কুশলাদি বিনিময় করলেও যুগ যুগ ধরে চলে আসা ভ্রাতৃত্বের বন্ধন কোলাকুলি করতে দেখা যায়নি কাউকে।
ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মুসল্লিরা বলেন, এবারের ঈদে মনে আনন্দ নেই। দেশে যেভাবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে তা থেকে যেন সবাই আমরা মুক্তি পেতে পারি নামাজ পড়ে সেই দোয়াই করলাম মহান আল্লাহ’র কাছে।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা যেন নামাজ আদায় করতে পারেন সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। ষাটগম্বুজ মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা দেশ-বিদেশের সব মুসল্লি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। জেলার সকল মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যেন নামাজ আদায় করেন সেজন্য মসজিদ কমিটি ও সংশ্লিষ্ট ইমামদের পরামর্শ দেয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন