২৮ জুলাই, ২০২১ ০১:৫৫

'জনপ্রশাসন পদক' গ্রহণ করলেন ঠাকুরগাঁও সদর ইউএনও

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

'জনপ্রশাসন পদক' গ্রহণ করলেন ঠাকুরগাঁও সদর ইউএনও

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মানবিক নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন

সরকারি চাকরিজীবীদের কর্মস্পৃহা বাড়াতে ও ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ 'জনপ্রশাসন পদক' প্রদান করে আসছে বাংলাদেশ সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের জেলা পর্যায়ে সাধারণ (ব্যক্তিগত) ক্যাটাগরিতে 'জনপ্রশাসন পদক' এর জন্য চুড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছিলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মানবিক নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস ও জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের হাত থেকে 'জনপ্রশাসন পদক' গ্রহণ করলেন ইউএনও আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পুরস্কার প্রদানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এসময় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ১৮ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত এক ডিও পত্রের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন সদর উপজেলার তৃতীয় লিংগের জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন প্রতিষ্ঠা (উত্তরণ গুচ্ছগ্রাম), সমবায় সমিতি গঠন, তাদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে এসডিজিতে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে জেলা পর্যায়ে সাধারণ (ব্যক্তিগত) ক্যাটাগরিতে 'জনপ্রশাসন পদক ২০২০' এর জন্য চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।

'জনপ্রশাসন পদক' প্রদানের জন্য নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, কোনো কিছু প্রাপ্তির আশায় কখনো কিছু করিনি, যা করেছি সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজের বিবেক-বুদ্ধি খাটিয়ে এ এলাকার মানুষের জীবন-মান উন্নয়নের চিন্তা-চেতনা থেকেই করেছি। ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই লক্ষ্য করি এ এলাকার তৃতীয় লিংগের জনগোষ্ঠীর অবহেলিত জীবন-যাপন। 

পরে তাদের সাথে বৈঠক করে, সকলকে একত্রিত করে সমাজের মূল স্রোতধারায় ফেরাতে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি, যাতে তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেরাই নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রকার লজিষ্টিক সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে-এখন তারা অনেকটাই স্বাবলম্বী। এ স্বীকৃতি আমাকে আরও ভালো কাজে উৎসাহ প্রদান করবে বলেও জানান তিনি।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর