শিরোনাম
- চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
- আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
- ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন চমক স্পর্শিয়া
- শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
- সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন
- উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
- আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
- সাঈদ খোকন ও তার বোনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অনুমোদন
- ‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
- ২৩ নভেম্বর বিপিএলের নিলাম
- মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ডিকেবিএ’র ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
- ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী
- ২০২৪ সালে যক্ষ্মায় মারা গেছে ১২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের
- বান্দরবানের লামায় মশাল মিছিল, গ্রেপ্তার ১
- সংবিধান সংশোধন করে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ালো পাকিস্তান
- নেত্রকোনায় হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে হিমু উৎসব
- জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের সব ব্যানার-ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ
- সিলেটে প্রভাব নেই লকডাউনের
- আইরিশদের বিপক্ষে ইনিংস জয়ের পথে টাইগাররা
ঢেউয়ের ধুয়ে যাচ্ছে কুয়াকাটা সৈকতের বালু, বেরিয়ে এসেছে মাটির স্তর
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ে ঝাপটায় ধুয়ে যাচ্ছে কুয়াকাটা সৈকতের বালু। বেরিয়ে এসেছে মাটির স্তর। হুমকির মুখে রয়েছে সৈকত লাগোয়া ট্যুরিজম পার্ক, মসজিদ, মন্দির, ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স, পাবলিক টয়লেট ও বনাঞ্চল। সাগরের বিক্ষুদ্ধ ঢেউয়ের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটকদের বিনোদন কেন্দ্র কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান। বর্তমানে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত একেবারেই শ্রীহীন হয়ে পড়েছে।
এদিকে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই জিরো পয়েন্টের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে জিওটিউব ব্যাগে বালু ভর্তি করে সৈকত রক্ষায় জন্য কাজ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ কাজে ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। কিন্তু এতেও কাজ হচ্ছে না। উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে সৈকত। অবস্থা এমন যে, স্বাভাবিক ঢেউয়ের ঝাপটাতেই সৈকতের বালুক্ষয় হচ্ছে। তবে পাউবো কর্তৃপক্ষ বলছেন, মানুষের চলাচলের কারণে ব্যাগ ছিড়ে যাওয়ায় বালু বের হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সাগরের তীব্র ঢেউয়ে সৈকতের ঝাউবন, নারিকেল কুঞ্জ, তালবাগান, শালবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। সমুদ্রে ভেসে গেছে কয়েক’শ ছোট ছোট দোকান। বিলীন হয়ে গেছে সৈকত লাগোয়া আবাসিক হোটেল। এদিকে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তাণ্ডবে গঙ্গামতি ও কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান সংরক্ষিত বনসহ শুটঁকিপল্লী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর সাগরের বড় বড় ঢেউ সৈকতে আছড়ে পড়ছে। এর ফলে ধুয়ে যাচ্ছে বালু। বেরিয়ে এসেছে মাটির স্তর।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. হান্নান বলেন, পানির উচ্চতার চেয়ে ব্যাগের উচ্চতা কম হওয়ায় কোনোভাবেই পানি আটকনো যাচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতি বছর সৈকত রক্ষায় দায়সারা কাজ করেছে। এর ফলে কোনো সুফল হচ্ছে না।
স্থানীয় সংবাদকর্মী মো.আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, সৈকতকে রক্ষার জন্য দরকার মহাপরিকল্পনা।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, সৈকত রক্ষায় কুয়াকাটা পৌরসভার কোনো বাজেট নেই। সৈকত রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করা উচিত বলে তিনি জানান।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.হালিম সালেহী বলেন, কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। তবে পূর্ব পাশে জরুরিভাবে সৈকত রক্ষায় কিছু জিও ব্যাগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থায়ী প্রকল্প পাঠিয়েছি।বরাদ্ধ পেলে কাজ শুরু করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর