বগুড়া জেলার নবাগত পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি দেশের করোনাকালেও পুলিশ সদস্যরা সাহসী ভূমিকা রেখেছে। সময়ের সাথে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও নিরাপত্তায় সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সাংবাদিক ও পুলিশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিরাপদ বগুড়া গড়ে তুলতে কাজ করা যাবে। বগুড়ার মানুষকে জনবান্ধব পুলিশিং সেবা উপহার দেওয়া হবে।
শনিবার বগুড়ায় পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেই সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকাল ৪টায় বগুড়া পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়নসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা।
সভায় বগুড়াকে নিরাপদ ও শান্তিময় নগরী, মাদক নির্মূল, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং, বেআইনিভাবে সুদ ব্যবসা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ সকল প্রকার অপরাধ ও সামাজিক সমস্যার বিভিন্ন বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
মতবিনিময়কালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী (প্রশাসন), আব্দুর রশিদ (অপরাধ), সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ, হেলেনা আক্তারসহ (হেড কোয়ার্টার) সাংবাদিকরা ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের উপস্থাপনের পরিপ্রেক্ষিতে নবাগত পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ সদস্যরা ত্রি নট ত্রি রাইফেল নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল। গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সবসময় পুলিশ সহযোগিতা করে গেছে, আগামীতেও করবে।
তিনি বলেন, পুলিশ তার বিধিবদ্ধ সীমাবদ্ধতা থেকেই কাজ করে যাবে। মাদক নির্মূলে জেলা পুলিশ কাজ করবে। গণমাধ্যমের ভূমিকা সমাজের বড় ভূমিকা। সমাজে অপ-সাংবাদিকতা রোধে সাংবাদিকদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ন্যায়সঙ্গতভাবে সোচ্চার হতে হবে। ইতিবাচক সংবাদ চর্চা করবেন। প্রকৃত সাংবাদিকরা এক হলে অপ-সাংবাদিকতা নির্মূল করা সম্ভব হবে।
বগুড়ায় যোগদান করা নবাগত পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার দায়িত্ব পালনসহ দেশের শান্তিশৃঙ্খল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ২৪ বিসিএস এ পুলিশে যোগদান করেন।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী পুলিশ সার্ভিসে অতীব মর্যাদাসম্পন্ন বিপিএম পদক অর্জন ও লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১ম স্থান অধিকার করে রেক্টরস মেডেল পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি লেখালেখি করে থাকেন। এপর্যন্ত তার লেখা "নিরন্তর নির্বাসন", "নীলিমায় বালিহাস", "নিমগ্ন নির্জন" ও "নি:শব্দ নিনাদ" এই চারটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই