বারোমাসি নতুন জাতের ‘স্যান্ডি’ আমের দেখা মিলেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামে। এই আম গাছের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-বছরের প্রতিদিনই গাছগুলোতে মুকুলের দেখা মেলে।
বাজারে আমের সময়ে যে সমস্ত জাতের আম পাওয়া যায়, সেই আমগুলো থেকে এই আমের স্বাদ অনন্য। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়েই এই আম পাওয়া যায়। এর ফলন খুব বেশি। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একসাথে গাছে আমফল ও মুকুল ধরে।
গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের আমচাষি নাজমুল হক জানান, প্রায় ১০ বছর আগে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিদেশি জাতের এ গাছের চারা পেয়েছিলেন তিনি এবং কয়েক একর জমিতে আমবাগান ও নার্সারী করে আমফল বিক্রি ছাড়াও গাছের চারা তৈরি করে একটি চারা ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করে আসছেন তিনি।
নিজে এই আমের জাতের নাম না জানলেও স্থানীয় কৃষি বিভাগ আমের নাম স্যান্ডি বলে জানিয়েছে। গাছগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-প্রতিদিনই মুকুল ফোটে আর একটি থোকায় অনেকগুলো আম আসে, আমের ভেতর আঁশ নেই, খেতে খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি। এর একেকটির ওজন ৫০০ থেকে ৬৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমের ত্বক খুব পাতলা এবং আমের রং হলদে হলে খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে। আমগুলো পরিপক্ক হতে ক্ষিরসাপাত ও গোপালভোগ আমের মতো সময় লাগে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার জানান, কৃষক নাজমুল হকের বাগানে যে আমগুলো হচ্ছে এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একটা থোকায় লিচুর মতো অনেকগুলো আম ধরে। আর প্রতিদিনই মুকুল আসে। একটি মুকুল ভেঙে ফেললে সেটি আবার হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে আমচাষি নাজমুল হক পরীক্ষামূলকভাবে গাছের চারাটি রোপণ করে ভাল সাড়া পেয়েছেন। এ আমের নাম দেওয়া হয়েছে স্যান্ডি। আমচাষিরা এ জাতের আম চাষ করলে ভাল ফলাফল পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই