যমুনার পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জে নদী তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বর্তমানে যমুনার নদীর পানি বিপদসীমার ৩ সে.মি নীচে প্রবাহিত হলেও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। বসতভিটায় পানি ওঠায় অনেক ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
আউশ ধান ও পাট এবং শাকসব্জি তলিয়ে নষ্ট হওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও পানি বাড়ায় ভাঙ্গন তীব্র হওয়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চৌহালী, শাহজাদপুর, কাজিপুরের চরাঞ্চলে অর্ধ শতাধিক বসতভিটাসহ ফসলী জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। বতসভিটা হারানো মানুষগুলো অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়া গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী মানুষের কর্ম না থাকায় কষ্টে দিনাতিপাত করছে। তবে এখনো জেলার কোথাও বন্যাকবলিতদের মাঝে কোন সহায়তা বিতরন করা হয়নি। পানিবন্দী মানুষকে সরকারের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।
শহরের কাটাওয়াদা এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, প্রতিবছর বন্যায় ঘরবাড়ী তলিয়ে গিয়ে ঘরের চারদিকের বেড়াসহ আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যায়। সেগুলো মেরামত করতে না করতে ফের বন্যায় সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। যে কারনে আমাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পানি বিপদসীমার ৩ সে.মি নীচ প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির হার কমছে। তবে বড় ধরনের বন্যার কোন শঙ্কা নেই।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার