উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও পানি বৃদ্ধির ফলে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনার শাখা নদী ধলেশ্বরী, লৌহজং, বংশাই ও ঝিনাই নদীর পানি। রবিবার বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনার অর্ধ-শতাধিক চরাঞ্চলসহ টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, কালিহাতী, ভূঞাপুর ও বাসাইল উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন গ্রাম বন্যার কবলে পড়ছে। সেই সাথে বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙনের ফলে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর ও বাসাইলের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের শতাধিক বসতভিটা, মসজিদ ও বাঁধসহ নানা স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলেও ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে।
এদিকে নদী তীরবর্তী এলাকায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই গবাদিপশুসহ উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন। বসতভিটায় পানি ওঠায় বন্যা দুর্গতরা বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটের মধ্যে পড়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অন্যদিকে, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে আমনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষি বিভাগ।
কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার বলেন, চলতি বন্যায় আমার ইউনিয়নের আলীপুরসহ আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন হয়েছে। এছাড়াও শত শত ঘরবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েক গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই