উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে টাঙ্গাইল সদর, ভূাঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও বাসাইলসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সাথে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মঙ্গলবার যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, ধলেশ্বরী ৪৫ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রতিদিনই নতুন নতুন অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে ওইসব এলাকার উঠতি ফসল ও বিভিন্ন সবজি পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষকের রোপা আমনে ক্ষতি বেশি হচ্ছে। এছাড়াও জেলার ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া-চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু বসতভিটা ভেঙে নদী গর্ভে চলে গেছে। মসজিদের একটি অংশও ভেঙে গেছে। স্থানীয় লোকজন ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত শনিবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার কালিহাতী উপজেলার কালিপুর এলাকায় নদী ভাঙনে অর্ধ-শতাধিক ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন গেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনাসহ জেলার বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই