দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের সিরাজ ফকির পাড়া গ্রামে করতোয়া নদীর ভাঙনে ইতিমধ্যে অনেকেরই বাড়ি-ঘরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে চলে গেছে। এবার এই ভাঙন প্রতিরোধে অস্থায়ী জরুরী প্রতিরক্ষার কাজ শুরু করেছে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নদীর পাড় ঘেষা সিরাজ গ্রামের মো. ছইমুদ্দিন ও মো. নওশা মিয়ার বাড়ি। তারা দুজনেরই জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে সরকারি ভাবে টিনের বেড়া ও ছাউনীর একটি করে বাড়ি পান।
নদীর পাড়ের ছইমুদ্দিন জানান, তার বাড়ির আঙিনা ও টয়লেট নদীতে ভেঙে গেছে। শুধু থাকার ঘরটি রয়েছে। সেটিও যে কোন মূহুর্তে নদীতে চলে যেতে পারে। একই কথা জানালেন নওশা মিয়াও। তার বাড়ির পাশে রয়েছে মো. গোলজার রহমানের বাড়ি। সেটিও নদীতে মিশে যাওয়ার পথে।
তারা বলেন, গতবারের বর্ষা মৌসুমে প্রতিবেশি মামুন হবি ও ছয়ফুলের বাড়ি নদীতে চলে গেছে। তারা এখন অন্যত্র বাস করছেন। চলে গেছে একটি মসজিদও। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। চলমান ভাঙন প্রতিরোধে এবারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যাগ ফেলছে। ওই ব্যাগ ফেলায় কিছুটা হলেও নদী ভাঙন রোধ হবে বলে জানান তারা।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ছামছুদ দোহা সাংবাদিকদের জানান, সিরাজ ফকিরপাড়া গ্রামে করতোয়া নদীর ভাঙন প্রতিরোধে অস্থায়ী জরুরী প্রতিরক্ষার কাজ চলছে। এটা কোন প্রকল্পের আওতায় নয়। এ কাজ অস্থায়ী জরুরী প্রতিরক্ষার কাজ। কোন বরাদ্দও নির্ধারণ নাই। এমনকি এ কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পর্যন্ত হয় নাই। তবে সেখানে ২০০ মিটার কাজ করা হবে। এ কাজে ১৭৫ কেজি ওজনের জিও ব্যাগ ও ৭৫ কেজি ওজনের সিনথেটিক ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজ পরিদর্শন করে বরাদ্দসহ সব কিছু নির্ধারণ করবেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন