গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে পিকনিকে গিয়ে দুই তরুণী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে একজন দ্রুত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া থানা পুলিশ।
এসময় উদ্ধার অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। কাপাসিয়া থানার ওসি মো: আলম চাঁদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে গাজীপুরের কাপাসিয়ার গোদারাঘাট সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি চলন্ত নৌযান থেকে এক তরুণী ৯৯৯-এ ফোন করেন। ওই তরুণী জানান, তিনি ও আরেকজন তরুণী কাপাসিয়া থেকে ৫০/৬০ জন যুবকের একটি পিকনিক দলের সঙ্গে যোগ দেন। তারা মূলত পেশাদার নৃত্যশিল্পী, পিকনিকে নৃত্য পরিবেশন করার জন্য অর্থের বিনিময়ে তারা ওই পিকনিক দলে যোগ দেন। পিকনিকে নৃত্য পরিবেশন করার পর রাত হলেও তাদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছিলো না। বরং পিকনিক দলের বেশকিছু ছেলে তাদের কুপ্রস্তাব দেয় ও ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। এরপর ওই তরুণী কৌশলে লুকিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করেন। তরুণী ৯৯৯-এর কাছে তাদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানান।
৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে গাজীপুর কাপাসিয়া থানার একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে উচছৃঙ্খল যুবকরা তাদের বড় নৌযান দিয়ে পুলিশ দলের ছোট নৌযানকে সজোরে আঘাত করলে সেটি ডুবে যায়। পাশের অন্য নৌযানের মাঝিরা আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। এরপর আহত পুলিশ সদস্যরা ৯৯৯-এ ফোন করে পরিস্থিতি জানান। ৯৯৯ তখন বিষয়টি আবার কাপাসিয়া থানার ওসিকে অবহিত করলে কাপাসিয়া থানার একাধিক দল ও পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ থানার টিম অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে।
ওসি আরো জানান, গাজীপুরের কাপাসিয়ার শীতলক্ষ্যা নদীর নাকাশিনি ঘাট থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয় এবং পিকনিক দলের ১৪ যুবককে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আহত পুলিশ দলের নৌযানের মাঝি ও এস আই সাজ্জাদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি মো: আলম চাঁদ জানান, এ ঘটনায় এস আই সাজ্জাদুল হক বাদী হয়ে ৩০ জনের নামোল্লেখসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পিকনিক দলে থাকা অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার