মানিকগঞ্জে বন্যার পানিতে কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে চরঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বোনা আমন, রুপা আমন, কাঁচামরিচ সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ফসল হাড়িয়ে কৃষকরা হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।
হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকার নিজাম শেখ বলেন, পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে কয়েক বিঘা কলাগাছ রোপন করেছিলাম। কলা ধরতেও শুরু করেছিল কিন্তু কয়েকদিনে ভাঙনে বেশিরভাগ কলাগাছ বিলিন হয়ে যায়। যে কলাগাছ গুলি টিকে আছে পানি চলে গেলে সেগুলিও মরে যাবে। তিনি আরও বলেন, ২ বিঘা লাল শাক বুনেছিলাম তাও পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
ঝিটকার আব্দুল কাদের বলেন, আমি আজন্ম কৃষক, পেঁয়াজ আর মরিচ চাষ করি। নিজের জমি বেশি নাই। পরের জমি কটে নিয়ে চাষাবাদ করি। পেঁয়াজ ও মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছিল। লাভ ভালই হয়েছে। তবে মরিচ গাছ যদি পানিতে না মরতো অনেক বেশি লাভ হইতো। এখন মরিচের দাম বেশি।
জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শাহজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, জেলায় ১২হাজার ৫শ' হেক্টর কৃষি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে বোনা আমন, রোপা আমন, মরিচ সহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেতের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানি কমতে শুরু করেছে অনেক জমির ধান টিকে যেতে পারে। এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন