চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) এর ব্যবস্থা না থাকায় মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মূমুর্ষ রোগিরা জীবন সংকটের মধ্যে দিন পার করছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছে। এতে রোগি ও স্বজনদের অতিরিক্ত খরচ বেড়ে যাবার পাশাপাশি দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা গেছে, কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত রোগিদের অবস্থা জটিল আকার ধারণ করলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ কারণে রোগিদের ব্যয় বাড়ছে। একদিকে কোভিড আক্রান্তের ফলে পারিবারিক দুশ্চিন্তা অন্যদিকে চিকিৎসায় অনেক অর্থ ব্যয়ের জন্য অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ছেন। ফলে অনেকেই এখন করোনা টেষ্ট করাতে চান না। অথচ জেলা হাসপাতালে আইসিইউ’র ব্যবস্থা থাকলে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হতো না।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, দ্রুত হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন ও পর্যাপ্ত চিকিৎসকের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এ অঞ্চলের মূমুর্ষ রোগীদের সমস্যা দেখা দিলে রাজশাহী বিভাগীয় শহরে রামেক হাসপাতাল ও করোনা ইউনিটই একমাত্র ভরসা।এব্যাপারে জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুমিনুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের ২২টি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের চিঠি পাওয়া গেছে।
চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, ৮ তলা বিশিষ্ট হাসপাতালের নবম তলা সম্প্রসারণ করে ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ ওয়ার্ড এবং ২০ শয্যা বিশিষ্ট একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। আগামী ২০২১-২২ অর্থ বছরে জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে।
অপরদিকে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, জেলা হাসপাতালের অবকাঠামো থাকলেও পিসিআর ল্যাব চালাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন, সেটি না থাকায় এ মুহুর্তে ল্যাব তৈরী করা সম্ভব নয়।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির
