এজেন্টদের বের করে দেয়া ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগের মধ্যে দিয়ে ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যাপক সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে।
ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা হিজবুল্লাহ জানান, তাকে ২ নম্বার কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। কোন কেন্দ্রেই তার এজেন্টদের বসতে দেয়া হচ্ছে না। এদিকে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আবু নাসের অভিযোগ করেছেন, বাইরে নিরাপত্তা জোরদার থাকলেও কেন্দ্রের ভিতরে একজনের ভোট অন্যজন দিচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টসহ অন্য এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বহিরাগত সমর্থকরা।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সোনাগাজী পৌরসভায় মোট ভোটার ১৫ হাজার ৯৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১২৭ জন ও নারী ভোটার ৭ হাজার ৮৫৮ জন। সর্বমোট ৯ টি কেন্দ্রের ৪৯ টি বুথে ভোটাররা তাদের ভোট প্রয়োগ করছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন লড়ছেন। এতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভেকেট রফিকুল ইসলাম খোকন।এছাড়া আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু নাসের, শেখ সেলিম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাত পাখা মার্কার প্রার্থী হাফেজ মাওলানা হিজবুল্লাহ। আর ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪ জন।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের জন্য এক জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে একাধিক স্ট্রাইকিং ফোর্স।
ফেনীর জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদউল হাসান জানান, এখন পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। কোথায়ও কোন অনিয়ম দেখা গেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাবের পাইলট হাই স্কুল কেন্দ্র থেকে ১ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ