বাগেরহাটের কচুয়া, ফকিরহাট ও চিতলমারী উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে রেব করে দেয়া, প্রকাশ্যে নৌকা প্রতিকে সীল মারতে ভোটারদের বাধ্য করার অভিযোগ তুলে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৫টি ইউনিয়নের ৫৯৯টি কেন্দ্রে ভোট শেষে হয়েছে। বড় ধরনের কোন সহিংসতা ছাড়াই বাগেরহাটে ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহন শেষ হলেও রবিবার নির্বাচন পূর্ব রাতে মোংলা উপজেলায় চাঁদপাই ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিপক্ষের হামলায় ফাতেমা বেগম (৭০) নামে মৃতু ও ইউপি সদস্য প্রার্থী মতিয়ার রহমান মোড়লসহ ৪ জন আহত হয়।
একই রাতে শরণখোলার উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রাজাপুর ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিলবুনিয়া সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ২৭ জনকে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তী করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন নারীসহ গুরুতর আহত ১০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাগেরহাটে টানটান উত্তেজনার ও বৃষ্টিপাতের মধ্যে সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়। ভোটকেন্দ্রগুলোতে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো অনেক বেশী। বৈরী আবহওয়ার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে ভোটার ভোট দিতে দেখা গেছে। তবে, কোথাও কোথাও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিপক্ষে দলটি বিদ্রোহীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দিতা করায় বেলা বাড়ার সাথে সাথেই কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে রেব করে দেয়া, প্রকাশ্যে নৌকা প্রতিকে সীল মারতে ভোটারদের বাধ্য করার অভিযোগ তোলেন কচুয়া, ফকিরহাট ও চিতলমারী উপজেলায় বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
এমন অভিযোগ তুলে দুপুরে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন কচুয়ার ধোপাখালী ইউপিতে ঘোড়া প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদ রানা, ফকিরহাটের শুভদিয়া ইউপিতে আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ আউয়াল, বাহরদিয়া-মানষা ইউপিতে আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল সিদ্দিকী খোকন। বাগেরহাটে ৯টি উপজেলায় ৬৫টি ইউনিয়নের ভোট রড় ধরনের কোন সংহিসতা ছাড়াই ভোট শেষ হলেও ৩৮টিতে চেয়াম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সেকারনে বাগেরহাটে তৃর্ণমুলের এই নির্বাচনে উৎসবের আমেজ ছিল তুলনামূলক আনেক কম।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন