বরগুনার পাথরঘাটায় রোকেয়া নামের ৬০ বছরের এক ভিখারির বসতঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য রাতের আঁধারে এ ঘটনা ঘটানো হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে রোকেয়া বেগম এ দাবি করেন।
তিনি জানান, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা শনিবার গভীর রাতে তার বসতঘরে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। রোকেয়া বেগমের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া গ্রামে। তিনি ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে। তার স্বামীর নাম আইউব আলী।
অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের সামছুল হকের ছেলে আবুল কালাম ও তার স্ত্রী গোলভানু এবং ছেলে ছলেমান, নুর মোহাম্মাদের স্ত্রী বাতাসী বেগম ও ছেলে জায়েদুলসহ প্রায় ৭ থেকে ৮জন।
রোকেয়া বেগম বলেন, প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরেন তিনি ও তার নাতী হৃদয়। প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য হৃদয় তার দাদি রোকেয়া বেগমকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বাহিরে বের হওয়ার সাথে সাথেই ঘরের পশ্চিম পাশের বারান্দায় আগুন দেখে ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি এসে ঘটনাটি দেখেন। তিনি আরো বলেন প্রতিপক্ষরা আমাদের একাধিক মামলা দিয়েও হয়রানি করে আসছে, আতংকে আমরা বর্তমানে বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারছিনা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবুল কালাম তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, রোকেয়া বেগমদের সাথে আমার জমি নিয়ে ঝামেলা আছে এবং আমি থানা ও কোর্টসহ প্রায় ৫টি মামলা করেছি। এ কারণে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ঘটনা সাজিয়ে এই ষড়যন্ত্র করছে।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, ঘরে আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল