দেশের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, বাংলাদেশ (ইউএফটিবি)-এ দুই দিনব্যাপী একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। ‘বি-টপ সিএস প্রোগ্রাম- হাউ টু মেক টপ ম্যানেজমেন্ট অ্যাওয়ার অফ সাইবার সিকিউরিটি (টিএমএ)’ শীর্ষক এই কর্মশালার উদ্বোধনী পর্ব রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাইকা’র প্রকল্প সমন্বয়ক (প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর) কাটসুকি নাহো এবং ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এর যৌথ সহযোগিতায় ইউনিভার্সিটি অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, বাংলাদেশ (ইউএফটিবি) এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালার আয়োজন করেছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছে। আজকের এই কর্মশালায় বিভিন্ন সেক্টর থেকে ২০ জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবস্থাপকদের সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি এবং এর থেকে সুরক্ষার কৌশল সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে শীর্ষ ব্যবস্থাপকদের ভূমিকাই প্রধান, তাই তাদের সচেতনতা সাইবার হামলা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
কর্মশালাটি ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশগ্রহণকারীরা সাইবার নিরাপত্তার সর্বশেষ হুমকি, প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ তৈরির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জ্ঞান লাভ করবেন।
অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করছেন যে, এ ধরনের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দেশের সাইবার সুরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সাইবার সচেতনতার সংস্কৃতি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ