রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় দ্বিতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে হবে। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় কয়েকস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করা হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে কোথাও থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ৯টি উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬ হাজার ৪২৭ এবং পুরুষ ১ লাখ ৫ হাজার ৪৪২ জন। এই উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নে মোট ৩২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯ জন। এছাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনে ১০৩ জন এবং সাধারণ সদস্য হিসেবে ৩২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আজকের ইউপি নির্বাচনে।
এদিকে, তানোরের ৬টি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৮৮৫ জন। এরমধ্যে নারী ৫৪ হাজার ৮৮৫ এবং পুরুষ ৫৭ হাজার। এই উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ২৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন। এছাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনে ৬৮ জন এবং সাধারণ সদস্য হিসেবে ২৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া গোদাগাড়ীর ৯৫টি ও তানোরে ৬৮টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে মোট ১৬৩ জন প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।
গোদাগাড়ীতে ৩৫ টি এবং তানোরে ৪৩টিসহ মোট ৭৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিচালনায় তারা বদ্ধপরিকর। তারা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার সাথে ভোটগ্রহণ শেষ করতে চান। দুই উপজেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই নির্বাচন কর্মকর্তা।
এখানে উল্লেখ্য যে, রাজশাহীর তানোরের ৬টি ও গোদাগাড়ী উপজেলার ৯ ইউনিয়নে একযোগে ভোটগ্রহণ চলবে। দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিলো ১৭ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ২০ অক্টোবর। বাছাইয়ের সিদ্ধান্তেরর বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২১-২৩ অক্টোবর। ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবর আপিল নিষ্পত্তি শেষে ২৬ থেকে ২৭ অক্টোবর প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইখতে খায়ের আলম জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দুইটি উপজেলায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনা করতে পুলিশ বাহীনি তৎপর আছে। একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা রয়েছে বলেও জানান রাজশাহী জেলা পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল