বগুড়া সারিয়াকান্দির ১ শত ৫৮ জন কৃষক পাটবীজ উৎপাদনের জন্য পাটচাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলাফল আশা করছেন চাষীরা।
সারিয়াকান্দি উপজেলাতেই প্রথমবারের মত পাটবীজ উৎপাদনের জন্য পাটচাষ করেছেন পাটচাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটগাছগুলো প্রায় ৫ হতে ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়েছে।
উপজেলা পাট অধিদপ্তর হতে কৃষক পর্যায়ে পাটবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৫০ জন চাষীকে পাটবীজ উৎপাদনের জন্য বীজ সার এবং বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১২০ জন কৃষক সফলভাবে পাটবীজ উৎপাদন করেছেন। তারা ২০ শতাংশ জমিতে পাটবীজ উৎপাদনের জন্য পাটচাষ করেছেন। তাদের পাটগাছগুলো ভাল ফলাফলের জানান দিচ্ছে।
অপরদিকে উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানেও ৩৮ জন চাষীকে পাটবীজ উৎপাদনের জন্য সারবীজ এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।
সারিয়াকান্দি পাট অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে কৃষকরা জমিতে পাটের বীজ বপন করেছিলেন। আগামী ফাগুন মাসে তারা পাটবীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রতি শতাংশ জমি হতে কৃষকরা ৩ কেজি পর্যন্ত পাটবীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। বর্তমানে পাটবীজের বাজার দর প্রতি কেজি ৩ শত টাকা। সে হিসেবে ২০ শতাংশ জমি হতে কৃষক ১৮ হাজার টাকার পাটবীজ বিক্রয় করতে পারবেন। অপরদিকে পাটখড়ি বিক্রয় হতেও কৃষকরা বাড়তি আয় ঘরে তুলতে পারবেন।
উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া চরের পাটচাষী আবু হাসান রন্জু জানান পাট অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে এ বছর জমিতে পাটের বীজ পাওয়ার জন্য পাটচাষ করেছি। পাটগাছগুলো খবই সতেজভাবে বেড়ে উঠেছে। আশা করছি বীজগুলো দিয়ে নিজে চাষ করেও বাড়তি বীজ বিক্রয় করতে পারব।
শুধু আবু হাসান রন্জুই না, উপজেলার নারচী ইউনিয়নের নূরনবী, হাটশেরপুর ইউনিয়নের লাবলু মিয়া, ফুলবাড়ী ইউনিয়নের নজরুল ইসলামসহ সকল কৃষকের পাটগাছগুলো সুন্দর সতেজভাবে বেড়ে উঠেছে।
সারিয়াকান্দি উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা চন্দ্রমোহন রায় জানান সরকার প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে পাটবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পাটবীজ উৎপাদনের জন্য আমারা সমগ্র উপজেলায় প্রদর্শনী প্লট করেছি।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান বাংলাদেশ পুরোপুরিভাবে পাটবীজের জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীল। কৃষকরা তাদের নিজেদের উৎপাদিত বীজ দিয়ে নিজেরা যাতে পাটচাষ করতে পারেন সেজন্য সরকারের এ উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম