নেত্রকোনায় চারতলা ভবনের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে স্বামী ও শিশুপুত্রের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোশতাক আহমেদ মিলু বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ভাইয়ের স্ত্রী ছালমা আক্তারকে আসামি করে আরও অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি দিয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আসামি ছালমা খাতুনকে (২১) শুক্রবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালত আবেদন পর্যালোচনা করে পরবতী শুনানির দিন ধার্য্য করবে।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে শহরের নাগড়া একটি চারতলা ভবনের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে নেত্রকোনা আদুনিক সদর হাসপাতালে ঔষধ প্রশাসনে কর্তরত পিওন কাইয়ূম সর্দার (৩২) ও তার ২২ মাসের শিশুপুত্র আহনাদ শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে দুটি লাশই সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠায়। পাশের ফ্লাটের লোকজন ও এলাকাবাসী ঘরের মেঝেতে পিতা পুত্রের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
কাইয়ুম সরদারের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলা সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোপালের খামার গ্রামের আক্কাস সর্দারের ছেলে। বিয়ে করেন ওই জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ফকিরগঞ্জ গ্রামে।
নিহতের ভাই মোশতাক আহমেদ মিলু বলেন, সিসি টিভি ফুটেজের এক একবার একেক রকম দেখে সন্দেহ হয়েছে। কখনো ঝাপসা আবার কখনো পরিস্কার। এই বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় মামলাটি দায়ের করি। আমি এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। পাশাপাশি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যেনো সঠিক আসে সেজন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করছি।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহেমদ জানান, আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করছি। মামলা হয়েছে। পাশাপাশি রিমান্ড আবেদন করেছি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে সবধরনের তথ্য নিয়ে বিষয়টির সঠিক রহস্য উদঘাটন করতে পারবো বলে আশা রাখছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল