নরসিংদীর মনোহদীতে প্রায় শত বছরের পুরোনো গ্রামীণ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পথে দেওয়া হয়েছে দেয়াল। এতে প্রায় ৫০টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব লোকজনকে। স্থানীয় প্রভাবশালী রমিজ ও তার ভাই রবিউল জোর পূর্বক সড়কের মাঝে দেয়াল নির্মাণ করে গ্রামবাসীর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রবিউল।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, নরসিংদীর মনোহরদীতে দৌলতপুর ইউনিয়নে হরিনারায়ণপুর গ্রামে বাজার সংলগ্ন রাস্তায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ করায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবার। রাতের আধারে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে তৈরি করা হয়েছে প্রাচীর। দখল করা হয়েছে কবরস্থান।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধা আমেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমরা এখন গৃহবন্দী হয়ে পড়েছি। জোড় করে বাড়ির যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়াল তুলছে প্রভাবশালী রমিজ উদ্দিন ও রবিউল। রাতের আধারে লোকজন নিয়ে এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ও কবরস্থান ভেঙ্গে ফেলছে।
বয়বৃদ্ধ সচিন দেব বর্মন বলেন, হঠাৎ করেই মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে গ্রামের রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণ করেছে। ফলে আমাদের প্রায় ৫০টি পরিবারের প্রায় ২ শতাধিক মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
অপর ভুক্তভোগী ইব্রাহীম মিয়া বলেন, আমরা পশুর মতো খাঁচায় বন্দী হয়ে আছি। ছেলে মেয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। খুব বিপদে আছি। কথা বললেই প্রশাসনের ভয় দেখায়। তিনি আরো বলেন, আমরা দিন আনি দিন খাই। তাই তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে কেউ সাহস পাচ্ছে না।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত রবিউল উদ্দিন বলেন, জায়গার মালিক আমি। গ্রামের মানুষের রাস্তার প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবে। তারাতো আমাকে জানায়নি। তৃতীয় পক্ষকে জানিয়েছেন। তাছাড়া আমি তাদের জন্য বিকল্প দিক দিয়ে রাস্তার দেয়ার কথা ভেবে রেখেছি। এখন তারা আমাকে আমার জায়গায় কাজ করতে দিচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল