জিংক সমৃদ্ধ চাল খেলে শিশুরা খাটো হয় না। শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ হয়। দূর হয় ক্ষুধা মন্দা। বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। জিংকের অভাব হলে কিশোরীদের শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। প্রসূতি নারীদের গর্ভের বাচ্চার ওজন কমে যায় এবং স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানব দেহে জিংকের প্রয়োজনীয়তা কম হলেও এর প্রয়োজন অত্যাবশ্যকীয়। বরিশালে ‘বায়োফোর্টিফাইড জিংক চাল উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব বক্তব্য দেন বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার সকালে বরিশাল নগরীর সাগরদী ধান গবেষনা ইন্সটিটিউটের হলরুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। হারভেস্ট প্লাস নামে একটি আন্তর্জাতিক কৃষি সংস্থা এই কর্মশালার আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম। সংস্থার কান্ট্রি ম্যানেজার ড. মো. খায়রুল বাশারের সভাপতিত্বে এবং একই সংস্থার ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেটর মো. জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান।
এছাড়া ভোলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু এনায়েত উল্লাহ, ঝালকাঠী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম, হারভেস্ট প্লাসের সিনিয়র স্পেশালিস্ট ওয়াহিদুল আমিন এবং প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ মো. আবু হানিফাসহ কৃষি সংশ্লিস্ট সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম বলেন, মানবদেহে নানা সমস্যা দূর করার জন্য জিংক গ্রহন করা জরুরী। এ লক্ষ্যে জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান-৬২, ব্রিধান-৬৪, ব্রিধান-৭৪, ব্রিধান-৮৪, বিনাধান-২০ এবং বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ উদ্ভাবন করা হয়েছে। জিংকের চাহিদা পূরণে এই ধানের উৎপাদন বাড়াতে নানা দিকনির্দেশনা দেন প্রধান অতিথি।
বিডি প্রতিদিন/এএ