ঢাকা জেলার সাভারের আশুলিয়ায় প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- হত্যার শিকার প্রতিক হাসানের (৩০) স্ত্রী লিজা আক্তার (১৮), লিজার মা লাকী বেগম, দাদি ফুলজান ও চাচাতো বোন জামাই সুজন মিয়া ও পরকীয়া প্রেমিক সেলিম।
নিহত প্রতিক হাসান ঘাটাইলের লক্ষ্মীন্দর ইউনিয়নের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তার মা হাসনা বেগম ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে একই উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ঘোনার দেউলি গ্রামের লেবু মিয়ার মেয়ে লিজা আক্তারের সঙ্গে প্রতিক হাসানের বিয়ে হয়। বিয়ের পরই ঢাকার আশুলিয়া গিয়ে স্বামী প্রতিক হাসান একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। আর লিজা ওখানেই গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। স্বামী পোশাক কারখানায় কাজে গেলে একই বাসায় সিরাজগঞ্জের সেলিম নামে এক ভাড়াটিয়া যুবকের সঙ্গে লিজার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শনিবার এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় লিজা ও পরকীয়া প্রেমিক মিলে প্রতীক হাসানকে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পরে লাশ শ্বশুরবাড়ি নিয়ে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে জানায়। বিষয়টি সন্দেহ হলে প্রতিকের বাবা-মা তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ তাদের আটক করলে লিজা আক্তার পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ) মো. জিয়াউল ইসলাম বলেন, হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পর গ্রেফতারকৃতরা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ আসামিকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা জেলা কোর্ট ইন্সপেক্টর মেজবাহ উদ্দিন জানান, প্রতিকের স্ত্রী হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। বাকিদেরকে ২ দিন করে রিমান্ড মনজু করেছেন আদালত ।
বিডি প্রতিদিন/এএ