কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৫৫) এলোপাতাড়ি গুলি করে খুনের ঘটনায় ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন নিহত সোহেলের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ রোমান। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা দশজনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার শাহ আলম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর।
গত সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ওই দু'জন। কাউন্সিলর সোহেলকে এলোপাতাড়ি ৯টি গুলি করেছে ঘাতকরা। হামলাকারীদের পিস্তলের দুটি গুলি সোহেলের মাথায়, দুটি বুকে, অন্য পাঁচটি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে।
কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বুকে ও পেটে গুলি লেগেছিল। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, আমরা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া তদন্তের স্বার্থে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মামলার সব আসামিদের নাম প্রকাশ করেননি ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে কাউন্সিলর সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মীদেরকে নিয়ে বৈঠক করছিলেন। এ সময় সাতটি মোটরসাইকেলে করে আসা অন্তত ১০ জন কালো মুখোশধারী সন্ত্রাসী ওই কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলরসহ আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ওই দু'জনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল