শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন উপজেলার লঙ্গরপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. কামরুজ্জামান (২৩) ও দুদু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৭) এবং জামালপুরের দেউরপাড়া গ্রামের আব্দুল সেকের ছেলে আয়নাল হক (৫০)।আয়নাল হক উপজেলার লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেছেন। পরে শ্রীবরদী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন। সোমবার রাতে উপজেলার লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে বলে ভিকটিমের অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে ওই গৃহবধূ উপজেলার উত্তর খড়িয়া গ্রামে বেড়াতে আসেন। গ্রেফতার কামরুজ্জামান ওই গৃহবধূর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সোমবার ওই গৃহবধূ কামরুজ্জামানের কাছে তার পাওনা টাকা চান। কামরুজ্জামান ও তার সহযোগী শফিকুল ইসলাম ওই গৃহবধূকে টাকা দেওয়া হবে বলে সন্ধ্যায় লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান। ভিকটিম ও অভিযুক্তরা ওই স্কুলে গেলে নৈশ প্রহরী আয়নাল হক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক খুলে দেন । গৃহবধূ ও অভিযুক্ত দুজনকে কে নিয়ে যাওয়া হয় ওই বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের একটি কক্ষে।
পরে রাত দশটা পর্যন্ত কামরুজ্জামান, শফিকুল ও নৈশ প্রহরী আয়নাল জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে। রাতে গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে গৃহবধূকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন এবং ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন। রাতে বাড়ী ফিরে ভুক্তভোগী অভিভাবকদের কাছে ঘটনা খুলে বলেন।
শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক বিপ্লাব বিশ্বাস বলেছেন, অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ