কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় প্রতিপক্ষের হামলায় দানেজ আলী (৫৫) নিহতের ঘটনায় হত্যাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নিহতের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ভেড়ামারা বাজার এলাকায় দাফনের আগে তার লাশ সামনে রেখে হাজার-হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় দানেজ আলীর মৃত্যু হয়। কয়েক মাস ধরে পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে দানেজ আলীর বিরোধ চলে আসছিল। ধারণা করা হচ্ছে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খুনিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালের দিকে দানেজ আলী বিলশুকা গ্রামের মাঠে নিজের গম ক্ষেতে গেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের মৃত শামসুদ্দিন পরামানিক ছেলে জিয়াউল ইসলাম জিয়া (৪২), রবিউল (৪৬), আছান (৫২), আছানের ছেলে সাগর (২৪), মুক্তারের ছেলে শিমুল (২৮), নুরুদ্দিন লড়ুর ছেলে লিপন (৩৬), আফতার প্রমানিকের ছেলে শাহীন, শ্যামল ও সুজনসহ আরও কয়েকজন রামদা, হাসুয়া, লাঠিসোঁটা ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মারপিট করে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত দানেজ আলীর ছেলে স্বপন আলী বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানা ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতের ছেলে উজ্জ্বল জানান, দুই মাস আগে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের পুকুরে মাছ লুটপাট করতে এসেছিল। বাধা দেয়ায় সে সময়ও তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাদের কয়েকজনকে আহত করেছিল। এবার মাঠে আমার বাবাকে একা পেয়ে হত্যা করল। তিনি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এএ