পুলিশের চূড়ান্ত ভেরিফিকেশনে ঘুষ দাবি করায় বরগুনার বেতাগী থানায় দায়িত্বরত এসআই হারুন অর রশিদ ফরাজীকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। ইতোপূর্বে এসআই হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা মামলায় ঘুষ গ্রহণ, ঘুষের টাকা ফেরৎ দেয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার সাংবাদিকদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বরগুনা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত নোটিশে তাকে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে ভূমিহীন সজলের ভেরিফিকেশনের ফাইনাল রিপোর্টে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবির ঘটনায় তাকে বরগুনা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এ তথ্য জানান ওসি শাহ আলম। তবে এমন ঘটনায় আরো চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সজলের পরিবার। তাদেরকে নানাভাবে জানানো হচ্ছে যে, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় সজলের চাকরির সমস্যা হতে পারে। চাকরি হবার পরও হয়রানির আশঙ্কা করছে তার স্বজনরা। এ ব্যাপারে সজলের পরিবার আবারো প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ঘটনায় ঘুষ দাবির অন্যতম স্বাক্ষী হোসনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শুরু থেকে আমার ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমানের মারফতেই ঘুষ চেয়েছেন এসআই হারুন। বাধ্য হয়ে বিষয়টি সাংবাদিককে জানিয়েছি। তবে সংবাদ প্রকাশের পর এসআই হারুনকে ক্লোজড হওয়াটা জরুরি ছিল। তা না হলে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা থাকতো না। হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের জনৈক ইউসুফ গাজীকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে এসআই হারুন ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। সাংবাদিকদের মাধ্যমে পুলিশ সুপার বিষয়টি জানতে পারলে সাবেক ইউপি সদস্য বাদলের মাধ্যমে টাকা ফেরৎ দেন।
এ ব্যাপারে জানতে এস আই হারুন অর-রশিদকে ফোন করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, ভূমিহীন হওয়ার জটিলতার রেশ কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চাকরি পান সেই সজল। তবে চাকরির ফাইনাল পুলিশ ভেরিফিকেশনে লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন বেতাগী থানায় দায়িত্বরত এসআই হারুন অর রশিদ। হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও তার এলাকার এক আওয়ামী লীগ নেতার মারফতে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন হারুন অর-রশিদ ফরাজী। পরে সজলের বাবা বেতাগী থানায় পুলিশ ট্রেনিংয়ের যোগদানের নোটিশপত্র আনতে গেলে তার কাছে সর্বশেষ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এসব তথ্য প্রকাশের পর এসআই হারুন অর-রশিদ ফরাজীকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন