ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শ্রী নিমাই চাঁদ মন্ডল ৯টি কেন্দ্রে মাত্র ৪২ ভোট পেয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে ফলসি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি এই ভোট পেয়েছেন। ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এ্যাডভোকেট বজলুর রহমান ৪ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ১৭৯ ভোট।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. নুর উল্লাহ জানান, ওই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৪২৬ জন। ৯টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট পড়েছে ৮ হাজার ৮৪৪ টি। ৯টি কেন্দ্রে ১টি অস্থায়ী ও ৩৫টি কক্ষসহ ৩৬টি কক্ষে ভোট নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩টি কেন্দ্রে ১টি ভোট করে পেয়েছেন শ্রী নিমাই চাঁদ মন্ডল।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী নিমাই চাঁদ মন্ডল জানান, নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর আশা করেছিলাম ভোটে জিতব। ভোট যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। কিন্তু এমন কেন হলো তা আমি বলতে পারছি না। মূলত এখানে আওয়ামী লীগের দুইটা পক্ষ হয়ে যাওয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে দলের বড় বড় নেতারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।
বিজয়ী প্রার্থী এ্যাডভোকেট বজলুর রহমান জানান, নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন তিনি জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তি। মানুষ তাকে পছন্দ করেনি। দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছিল কিন্তু ভোটাররা তাকে পছন্দ করেনি। ভোটাররা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক নিয়েছে। তারা প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদর পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান, ফলসি ইউনিয়নে সামাজিক দলাদলি ছিল। যে কারণেই এটি ঘটেছে। তবে প্রার্থী নিমাই চাঁদ মন্ডল বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে নেগোসিয়েট করে ভোট গ্রহণের আগেই মাঠ ছেড়ে দেয়। তিনি যদি এটি না করে ভোটের মাঠে টিকে থাকত তাহলে এমনটি হতো না।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ