ফরিদপুরের সালথায় মো. কাজী মাইনুদ্দীন নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার জমির রোপন করা হালি পেঁয়াজের চারা বিষাক্ত ওষুধ দিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রথমে তার পেঁয়াজের দানা নষ্ট করা হয়। পরে তিনি হালি পেঁয়াজের চারা কিনে এনে জমিতে রোপন করলে- তাও নষ্ট করে দেওয়া হয়।
সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের জোগারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন। তবে কি কারণে কারা তার ফসলের ক্ষতি করছে তা পরিস্কার করে বলতে পারছেন না তিনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কাজী মাইনুদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির সামনে জোগারদিয়া মাঠে থাকা আমার জমির ফসল মাঝে মাঝেই রাতের আধারে নষ্ট করে দেওয়া হয়। কয়দিন আগে ১৫ কেজি হালি পেঁয়াজের দানা ক্রয় করে বোপন করেছিলাম। বোপন করা সেই দানা থেকে যখন ছোট ছোট পেঁয়াজের চারাগাছ বের হতে শুরু করে তখন তা বিষ দিয়ে নষ্ট করে দেয়া হয়। এরপর আমি হালি পেঁয়াজের চারা বাজার থেকে কিনে এনে ৬৩ শতাংশ জমিতে রোপন করি, তাও বিষ দিয়ে নষ্ট করা দেয়া হলো। এতে প্রায় আমার ৪ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
তবে কারা তার এভাবে ক্ষতি করে চলছে তা সঠিকভাবে বলতে পারেননি তিনি। তিনি দাবী করে বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। বরাবরই আমি দলীয় নির্দেশনা নেমে নৌকার পক্ষে কাজ করি। এবারও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছি মাঠে নেমে, এই কারণে হয়তো বিরোধের পক্ষের সমর্থকরা আমার পেঁয়াজের এভাবে ক্ষতি করছে। শুধু পেঁয়াজের ক্ষতি ক্ষ্যান্ত নয় চক্রটি, এরআগে একবার আমার ঘর থেকে ৬৫ মণ পাট চুরি করে নিয়ে যায়।
সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতার জমির পেঁয়াজের এভাবে ক্ষতি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা শত্রুতা থেকে হয়েছে। তিনি নৌকার নির্বাচন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা তার ক্ষতি করছে বলে আমার ধারণা। আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন