পাবনার সাথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত স্বেচ্ছাসেবককে মারধরের প্রতিবাদে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে টিকা গ্রহণকারীরা চরম সমস্যায় পড়েছেন বলে অভিযোগ তাদের। গত বৃহস্পতিবার থেকে টিকা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি সব কিছুই স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সাথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত অবস্থায় সাঁথিয়া ফকির পাড়ার অহিদুল ফকিরের ছেলে সন্ত্রাসী শিমুলের নেতৃত্বে সবুজসহ একদল উশৃংখল যুবক হাসপাতালে ঢুকে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবক ইব্রাহিমকে মারধর করে মারাত্মক আহত করে। তাৎক্ষণিক এ ঘটনার প্রতিবাদে ভ্যাকসিন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময় টিকা নিতে আসা লোকজন চরম সমস্যায় পড়েন। স্বেচ্ছাসেবকরা ভয়ে আজ শনিবারও কাজ বন্ধ রেখেছেন।
মারধরের শিকার স্বেচ্ছাসেবক ইব্রাহিম জানান, বৃহস্পতিবার শিমুল তার সহযোগীদের নিয়ে টিকা নিতে এসে নিয়মবহির্ভূত ভাবে সিরিয়াল ভেঙে আগে টিকা নেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি তার টিকা ফরমটিও সঠিক ভাবে পূরণ না করায় আমি তার সেটি ঠিক করে আনার পরামর্শ দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি 'তুই থাকতে আমাকে কেন এসব কাজ করতে হবে' বলেই মারপিট শুরু করেন। ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আমি সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদৌস বৈশাখী বলেন, মারপিটের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক ইব্রাহীমকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি অবহিত করেছি। এ ধরনের ঘটনা হাসপাতালের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার অন্তরায়। পুলিশ প্রশাসনকেও আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখারও অনুরোধ করেছি।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি পাওয়ার পর জিডি আকারে গ্রহণ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল