খুলনার কয়রায় বাবা, মা ও মেয়েকে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আসামি আব্দুর রশিদ গাজী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি কয়রার বামিয়া গ্রামের আব্দুল মাজেদ গাজীর ছেলে। এছাড়া পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রবিবার কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে আব্দুর রশিদ হত্যায় জড়িত স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। এসময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে বাগালী ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামের হাবিবুল্লাহ গাজী (৩৩), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (২৫) ও মেয়ে হাবিবা খাতুন টুনি (১৩) কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন সকালে বাড়ির পাশে পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ দীর্ঘদিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
তবে গত ৬ জানুয়ারি যশোর থেকে বামিরা গ্রামের আব্দুর রশিদ গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বামিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সাইফুল্লাহ (৩৫), শাহীন (৩৮), আব্দুল হক (৬০) ও তার স্ত্রী তাসলিমা, মোস্তফা (৪০) ও আল আমিন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করলে সাইফুল্লাহ, শাহীন, আল-আমিন ও আব্দুল হকের তিন দিনের রিমান্ড ও তাসলিমাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অপর আসামি মোস্তফাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা ডিএসবি’র ওসি (ওয়াচ) শরিফুল ইসলাম জানান, হত্যার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম