বাঙালির প্রাণের উৎসবে মিশে আছে পহেলা ফাল্গুন। দিনাজপুরের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে ছিল রঙিন বসন্তের উচ্ছাসিত ছোয়া। ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে প্রাণের খেলায় মেতে উঠেছিল রঙিন তারুণ্য। ফুলে দোকানগুলোতেও ছিল ভীড়। তাই ১০ টাকার ফুল হয়েছিল ৫০-১০০ টাকায় বিক্রি। আর এই উৎসব শহর ছেড়ে গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে। দিনাজপুরে শীতের বিদায় আর বসন্ত বরণ করে নিতে রঙ্গিন হাওয়ায় নিজেদের প্রতিভা মিলে ধরতে মেতেছে নানান বয়সী নারীরা।
এ সময় বিভিন্ন বয়সী নারীরা একত্রিত হয়ে প্রাণের ছোয়ার উল্লাসে বরণ করে নেয় ফাল্গুন। ফাল্গুনের বরণ উপলক্ষে হলুদ বর্ণের শাড়ী আর মাথায় ফুলের মুকুট পড়ে নাচে-গানে উল্লাসে মেতে উঠেন নারীরা।
সোমবার দিনাজপুরের পূনর্ভবা নদীর তীরে জীবনমহল পার্কে এ পহেলা ফাল্গুন উৎসবে মেতেছিল ৮২ হাজার সদস্যের অনলাইন ফেসবুক গ্রুপ দিনাজপুর গার্লস ক্লাব। ছিল পিকনিক মিটআপ, নাচ, গান, খেলাধুলা, লটারি, কেক কাটাসহ নানান অনুষ্ঠান।
দিনাজপুর গার্লস ক্লাব এডমিন আফরিন মৌ , আফরোজা মাহমুদ বন্যা ,মডারেটর রেনেসা আলম, আসমা মুন, জেসমিন সুলতানা লিজা, তাসপিয়া রহমান, আনোয়ারা স্বপ্না প্রমুখ শতাধিক নারীরা নাচে গানে আনন্দ উল্লাসে ফাল্গুন বরণে অংশ গ্রহন করেন। ফাল্গুনের ছোয়ায় আগামী দিনের পথ চলা যেন আরোও সুন্দর হয় এই প্রত্যাশা করেছেন।
আফরিন মৌ বলেন, ফাল্গুন আমাদের বাঙ্গালীপনার ঐহিত্য। এই ফাল্গুনকে নিয়ে বাঙ্গালির কবিতা রয়েছে তার কোন শেষ নেই । ফাগুনের ভালবাসায় যেন কোন দিন ফুরিয়ে যাবে না। তাই আমরা গ্রুপের নারীরা একত্রিত হয়েছি কিছু সময় একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে।
আফরোজা মাহমুদ বন্যা বলেন, পহেলা ফাল্গুন মানে বসন্তের শুরু। বসন্ত কালে নতুন কিছু আসে সবার জীবনে। তাই আমরা নতুন কিছুর প্রত্যাশা সব সময়ে করি। আর বসন্ত মানেই তো আনন্দ। তাই আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে গল্প, গান, বনভোজন আর আড্ডা দেওয়ার জন্যই একত্রিত হওয়া ।
বিডি প্রতিদিন/এএ