বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কীটতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে মাঠ প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং জৈব বালাইনাশক প্রদর্শনী কীটতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে এ মাঠ প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও জৈব বালাইনাশক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
বারির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি আরো বক্তব্য রাখেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম, বারি’র কীটতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আখতারুজ্জামান সরকার, কীটতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. নির্মল কুমার দত্ত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেক্ষেত্রে আমাদের চেষ্টা রয়েছে আমাদের পুরো খাদ্যশৃঙ্খল যেন নিরাপদ এবং রাসায়নিক বিষমুক্ত হয়। তবে আমাদের দেশে জৈব বালাইনাশক এখনও খুব বেশি সহজলভ্য নয়। তাই এক্ষেত্রে আমাদের কীটনাশক প্রস্তুতকারী কোম্পানীগুলোকে আরও এগিয়ে আসতে হবে। বারি’র কীটতত্ত্ব বিভাগের চলমান জৈব বালাইনাশক প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ৩০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়া দেশে ৬৬টি জৈব বালাইনাশক নিবন্ধন পেয়েছে এবং আরও কিছু নিবন্ধন পেতে চলেছে। তাই আমাদের সকলকে এসব প্রযুক্তি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে একযোগে কাজ করতে হবে।
এর আগে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে নিয়ে জৈব বালাইনাশক প্রদর্শনীর স্টল পরিদর্শন করেন। এই প্রদর্শনীতে ১১টি জৈব বালাইনাশক প্রস্তুতকারী কোম্পানী অংশগ্রহণ করে তাদের বিভিন্ন প্রযুক্তি উপস্থাপন করেন।
‘বাংলাদেশে শাক-সবজি, ফল ও পান ফসলের পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প’ এর অর্থায়নে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বারি’র বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মী, বিভিন্ন জৈব বালাইনাশক প্রস্তুতকারী কোম্পানীর প্রতিনিধি এবং কৃষক প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম