ঝালকাঠি থানা রোড সংলগ্ন পৌরটাউন হলের ভেতরে একটি মরা কুকুর রেখে যায় পৌরসভার বর্জ্য অপসারণ কাজে নিয়োজিত এক কর্মী। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় পৌরসভার ময়লার ভ্যানে একটি মৃত কুকুর এনে টাউনহলের ভেতরে রেখে গাড়িতে থাকা বাকি ময়লা নিয়ে স্থান ত্যাগ করে ওই কর্মী।
ঘটনার সময়ের এক মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। সিসি ক্যামেরায় ধারনকৃত ওই ভিডিওতে দেখা যায় সকাল ৮ টা ৩৫ মিনিটে ঝালকাঠির পৌরসভার ময়লার ভ্যান গাড়িটি নিয়ে টাউনহলের নিচ তলায় এসে প্রথমে রাস্তার এদিক সেদিক তাকাতে থাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের দক্ষিণ গেটের পাশে মরা কুকুরটি রেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। যেখানে আরও কয়েকটি সংগঠনের অফিস রয়েছে।
ভিডিও দেখে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার আরেক কর্মচারি নিশ্চিত করেছে ওই ভ্যান চালক শ্মশানঘাট এলাকার নিতাইয়ের ছেলে উজ্জ্বল। সে ঝালকাঠি পৌরসভার বর্জ্য অপসারণ কজের অস্থায়ী কর্মচারি।
ঝালকাঠি টাউনহল ভবনে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতি, রিপোর্টার্স ইউনিটি, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নসহ আরও ক্লাব ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে।
ঝালকাঠি শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, এই নামে কাউকে আমি চিনি না। তিনি পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার বিজয় ভক্তের সাথে আলাপ করতে পরামর্শ দিয়ে ফোন কেটে দেন।
ঝালকাঠি পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরুণ কর্মকার বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমি বিষয়টি শুনেছি এবং সন্ধ্যার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ শাখায় নির্দেশ দিয়ে মরা কুকুরটি সরিয়ে দিয়েছি। কুকুরটি কেন ওখানে রাখা হলো সে বিষয় উজ্জ্বলকে জিজ্ঞেস করা হবে বলেও জানিয়েছেন তরুন কর্মকার।
ঝালকাঠি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আল আমিন তালুকদার বলেন, শুক্রবার বিকেলে কুকুরটি থেকে গন্ধ বের হতে থাকলে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। তবে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে কারো নির্দেশ বা উশকানিতে মরা কুকুরটি এখানে ফেলে রাখা হতে পারে বলে জানান তিনি।
পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার বিজয় ভক্ত বলেন, এই অপরাধমূলক কাজের জন্য দোষীকে চাকরিচ্যুত করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল