কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর ১১১ বছরের প্রবীণ তফিল উদ্দিন ওরফে ঝাটু মুন্সী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। উপজেলার একমাত্র প্রবীণ শতবর্ষী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তবে তার প্রকৃত বয়স আরও বেশি বলে দাবি এলাকাবাসীর।
শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে তিনি তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের কানিপাড়া গনাইরকুটি (চৌধুরী বাজার) গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তফিল উদ্দিন। শুক্রবার বাদ জুমা পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার নাম তফিল উদ্দিন, বাবা মৃত উমেদ আলী, জন্ম তারিখ ২৯ নভেম্বর ১৯১১। কিন্তু এলাকাবাসী ও স্বজনদের দাবি, পরিচয়পত্রে জন্ম সাল তার ভুল ছিল। তার প্রকৃত বয়স হওয়ার কথা ১৩৯ বছর। তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ, পাকিস্তানের ও এখন বাংলাদেশের নাগরিক। পাঁচ ছেলে ও পাঁচ মেয়েসহ ১০ সন্তানের জনক ছিলেন তফিল উদ্দিন। তার স্ত্রী বিগত ১৯৯২ সালে ও বড় ছেলে ২০০০ সালে মারা যান বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
তিনি এক বছর আগেও ১১০ বছর বয়সে চশমা ছাড়া কুরআন শরীফ পড়তে পারতেন শিরোনামে সংবাদ পরিবেশিত হয়। সেসময় অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে তাকে দেখতে ও দোয়া নিতে আসতেন।
মরহুমের দ্বিতীয় ছেলে আকবর আলী জানান, বাড়ির পাশে মসজিদে একাধারে ৭০ বছর ধরে ইমামতি করেন তিনি।সেইসাথে তিনি ভূরুঙ্গামারীর চর বলদিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক ছিলেন। শুক্রবার বাদ জুমা তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই