বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা এলাকায় বাঙালি নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল হতে ৮টি ড্রেজার মেশিন, ১০০ ফিট পাইপ ও আনুমানিক ১০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত বালু স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে নিলামে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন আরও জানিয়েছে, ঘটানাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বালু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য কোন জরিমানাও করা যায়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের কয়েকজন দীর্ঘ ৭ বছর যাবৎ অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত। গত ১ মাস ধরে তারা জোড়গাছা গ্রামের বাঙালি নদী হতে বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং বিক্রয় করে আসছিল। এতে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাঙালি নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। বালু উত্তোলনের স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। জনদুর্ভোগ বিবেচনায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানে সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হকের নির্দেশনা মোতাবেক অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উপজেলায় কোনও অনুমোদিত বালু মহাল নেই। এরপরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অসাধু ব্যক্তিরা বিভিন্ন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করার চেষ্টা করে। এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ