বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিকদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানসহ করোনাকালীন বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে খনি শ্রমিকরা। এসময় তারা ২১ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ২০ ও ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কয়লা খনি বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে খনি গেটে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ শেষে বক্তব্য রাখেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম শ্রমিক নেতা এহাসানুল হক সোহাগ, এরশাদ আলী ও আবু তাহের প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আমরা খনির সূচনালগ্ন থেকে কয়লা খনির আন্ডারগ্রাউন্ড প্রায় ৪৫ডিগ্রি তাপমাত্রায় কয়লা উত্তোলন করে এসেছি। বৈশ্বিক অতিমারী করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি লকডাউন ঘোষনা করে। ওই সময় আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ বাড়ীতে অবস্থান করি এবং করোনাকালীন সময়ে কিছুসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কয়লা উত্তোলন অব্যাহত আছে। পরবর্তী সময়ে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সকল সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান পূর্বের মতোই চালু হলেও অজ্ঞাত কারণে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আমাদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে খনি কর্তৃপক্ষ যোগদানের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। একই সাথে খনি কর্তৃপক্ষ ঘোষিত করোনাকালিন বেতন ভাতা না পাওয়ায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। অবিলম্বে আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানসহ করোনা কালিন বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হবো।
উল্লেখ্য, এসব দাবি নিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন গত ১১এপ্রিল খনি কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। ওইদিন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ২০ ও ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বিডি প্রতিদিন/এএ